জ্বীন জাতির জীবন
জ্বীন জাতির জীবন
ইসলামী আকীদা অনুযায়ী জ্বীন আল্লাহর সৃষ্ট এক অদৃশ্য মাখলুক, যাদের সৃষ্টি করা হয়েছে আগুন থেকে। কুরআন ও হাদিসে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ আছে। সাধারণভাবে জ্বীন তিন ভাগে বিভক্ত:
১. ঈমানদার (মুমিন) জ্বীন
যারা আল্লাহ ও তার রাসুল (সাঃ)ওপর ঈমান আনে, নামাজ পড়ে, কুরআন মানে এবং মুমিন মুসলমান মানুষের মতো ইসলাম মেনে চলে।
কুরআনে সূরা জ্বীন-এ (৭২:১১) বলা হয়েছে:
"আমাদের মধ্যে সৎকর্মশীলও আছে এবং আমাদের মধ্যে তা নয় এমনও আছে; আমরা বিভিন্ন পথে বিভক্ত হয়েছি।"
২. কাফের বা অবাধ্য জ্বীন (শয়তান/ইবলিসের অনুসারী)
যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে, মানুষের ক্ষতি করতে চায়, কুমন্ত্রণা দেয়।
এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো ইবলিস, যে আদম (আঃ)-কে সিজদা করতে অস্বীকার করেছিল। এদের সাধারণত শয়তান বা মারিদ বলা হয়।
৩. নিরপেক্ষ জ্বীন
যারা ইসলাম গ্রহণ করেনি, আবার সরাসরি মানুষের ক্ষতিও করে না। তারা শুধু নিজেদের জীবন যাপন করে।
রাসুল (সাঃ)কে এক সাহাবী জিজ্ঞেস করেছিল ইয়া রাসুল আল্লাহ (সাঃ) জ্বীনরা কোন ধরনের খাবার পছন্দ করে। রাসুল (সাঃ) বললেন জ্বীনরা গরুর হাড় ও খেজুরের বীজ খেতে পছন্দ করে।
তখন আরেক সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুল আল্লাহ (সাঃ) আমরাতো গরুর হাড় থেকে গোসত খেয়ে পেলে দেই। এই হাড় জ্বীনএরা কিভাবে খায়।
রাসুল (সাঃ) বলেন তোমরা যখন বিসমিল্লাহ বলে হাড় থেকে গোসত খেতে হাড় ফেলে দাও। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিসমিল্লাহ বরকতে সেই হাড়ের মধ্যে গোসত ভরপুর করে দেন। আর এই গোসত এবং হাড় জ্বীনরা খায়।
তাই তোমরা হাড় ও খেজুরের বীজ মাটিতে ফেলো কিন্তুু নাপাক করো না।
রাসুল (সাঃ) আরো বলেন জ্বীন আগুনের শিখা থেকে তৈরি (সুরা রহমান) তারা সাধারণত মানুষের চোখে অদৃশ্য থাকে। (সুরা আরাফ) তাদের পোশাক আগুনের ধূয়া বা আলো চায়ার মতো সূক্ষ্ম বস্ত্র দিয়ে তৈরি।
জ্বীনএরা মরুভূমির ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘর গভীর জঙ্গল সাগরের তলদেশে বসবাস করে। তাই তোমার এসব জায়গায় প্রবেশ করার আগে বিসমিল্লাহ পড়।
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন কিন্তুু জ্বীন মসজিদের পাশে থাকে ইবাদত করার জন্য। আর কিছু জ্বীন অন্ধকার ও জনশূন্যস্থানে থাকে মানুষের ক্ষতি করার জন্য।
তাই তোমরা রাতের বেলা আবর্জনা বাইরে ফেলো না। এবং ঘরে ঢোকার আগে বিসমিল্লাহ বলবে। এটা আমার সন্নাহ।