বউ শাশুড়ীকে মেরে ফেলতে চায়

 

বউ শাশুড়ীকে মেরে ফেলতে চায়




একটি মেয়ে বিয়ে পর বুঝতে পারলো তার শাশুড়ী অনেক দার জাল। তার শাশুড়ী তাঁকে অনেক জ্বালা যন্ত্রণা  করে তাই সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলো তার শাশুড়ীকে সে মেরে ফেলবে।

কিছু পর সে তার বাবার বাড়িতে গেল এবং তার বাবাকে সব কিছু  খুলে বললো। তার বাবা ছিলেন একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। তাই সে তার বাবাকে বললো বাবা আমাকে এমন একটা ঔষধ দাও

যা খাওয়ালে আমার শাশুড়ী মারা যাবে। তার বাবা তাকে বললেন আমি তোমাকে একটি ঔষধ দিবো যা তুমি তোমার শাশুড়ীকে একমাস খাওয়াতে হবে। এর সাথে আরেকটি শর্ত আছে। যে একমাস তুমি তোমার শাশুড়ীকে ঔষধ টা খাওয়াবে

সে একমাস তুমি তোমার শাশুড়ীকে তোমার মায়ের মতো মনে করবে এবং আদর যত্ন  করতেন হবে তা না হলে ঔষধ কাজ করবে না। মেয়ে মনে মনে ভাবলো  অনেক দিন তো কত  জ্বালা যন্ত্রনা সহ্য করেছি।

আরো একমাস না হয় করলাম। সে তার বাবা কথায় রাজি হয়ে ঔষধ নিয়ে শশুড় বাড়ী গেল। এবং বাবা কথা মতো শাশুড়ীর সেবা করতে লাগলো। আর রাতে ঘুমানোর আগে শাশুড়ীকে ঔষধ খাওয়ানো শুরু করলো।

এভাবে পনেরো দিন যাওয়ার পর বউ শাশুড়ীর সম্পর্ক মা মেয়ের মতো হয়ে গেল। বউ চিন্তায় পড়ে গেল বউ মনে মনে ভাবলো হায় এতো ভালো শাশুড়ীকে আমি মেরে ফেলবো।

না এটা হতে পারে না তাই সে তার বাবা কাছে গিয়ে করুণ সুরে বললো বাবা আমি একটা ভুল করতে যাচ্ছি আপনি আমার শাশুড়ীকে বাঁচান বাবা বললেন কি হয়েছে।

মেয়ে বললো বাবা আমার শাশুড়ী যে এতো ভালো তা আমি আগে বুঝতে পারিনি। আমার শাশুড়ী আমাকে তার মেয়ের মতো আদর করে। আমিও তাকে আমার মায়ের মতো সেবা যত্ন করি।

বাবা আমি আমার শাশুড়ীকে মারতে চাই না আপনি আমার শাশুড়ীকে বাচান। বাবা বললেন তুমিতো তোমার শাশুড়ীকে মেরে ফেলার জন্য ঔষধ নিয়ে ছিলে এবং সে ঔষধ পনেরো দিন তাকে খাওয়াইছো।

এখন তাকে বাঁচানো অসম্ভব আমি তাকে বাচাতে পারবো না। তখন মেয়ে তার বাবা পায়ে ধরে কান্নাকাটি শুরু করালো আর বলতে লাগলো বাবা আমার শাশুড়ীকে বাঁচান।

বাবা তখন মুচকি হেসে মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন শুন মা আমি তোমাকে কোন ঔষধ দেই নাই ঔষধের বোতলে পানি ভরে দিয়েছি। আর শর্ত দিয়েছি এজন্য।

এ পৃথিবীতে আদর ভালোবাসা দিয়ে মানুষকে যতটা আপন করা যায়। কোন ঔষধ মেডিসিন দিয়ে ততটা আপন করা যায় না এটাই  তার প্রমাণ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url